উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১/০৩/২০২৪ ৯:৪৪ পিএম
রোহিঙ্গা ঢল / ফাইল ছবি

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে আরও ১ হাজার ২৫০ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরের আশ্রয়শিবিরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁদের বাসে করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে আজ শুক্রবার দুপুর নাগাদ তাঁদের ভাসানচরে নেওয়া হবে।

আর্মড পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের ২৫টি বাসে করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মালামাল বহনের জন্য আটটি কাভার্ডভ্যান ও জরুরি চিকিৎসার জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল বহরে। রওনা দেওয়ার আগে উখিয়া কলেজ মাঠে তাঁদের রাতের খাবার খাওয়ানোর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গাড়িতে তোলা হয়।

১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে থেকে ২৪তম ধাপে ভাসানচরের উদ্দেশে যাওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথমে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে নতুন ছিলেন ১ হাজার ১৪১ জন ও ভাসানচর থেকে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বেড়াতে আসা ছিলেন ১০৯ জন। সব মিলিয়ে ১ হাজার ২৫০ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী ভাসানচরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে তুলে তাঁদের ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে স্থানান্তর করা হবে।

ভাসান চরে যাওয়া রোহিঙ্গারা বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরে উখিয়া-টেকনাফের আশ্রয়শিবিরগুলোতে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য বিস্তার, মাদক, অপহরণসহ নানা কারণে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। সে জন্য অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভাসানচরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

সেন্টমার্টিনে যেতে পর্যটকদের দিতে হবে পরিবেশ সংরক্ষণ ফি

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিস্তৃত পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে, যার ...

সন্ধ্যা নামলেই কক্সবাজার-খুরুশকুল সেতুতে সৃষ্টি হয় ভুতুড়ে পরিবেশ

কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন কক্সবাজার-খুরুশকুল সংযোগ সেতু। নির্মাণশৈলীর কারণে উদ্বোধনের পর থেকেই ...